ডেস্ক রিপোর্ট- আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) তে কাজ করা এক নোহা চালককে নোহাসহ আটক করেছে কক্সবাজার মডেল থানা পুলিশ।
গতকাল রাত ৮টায় শহরের হোটেল হলিডে মোড় থেকে নিষিদ্ধ ইয়াবার একটি বড় চালান সহ নোহা চালক সেলিম কে আটক করা হয়। তবে রহস্য জনক কারণে ঢাকা মেট্রো-চ-১৫-৮০৯৫ নম্বর ধারী ইয়াবা পাচারে ব্যবহৃত সাদা রঙের নোহাটি জব্দ তলিকায় দেখায়নি মডেল থানা পুলিশ। চালকের ছদ্মবেশে আটক ইয়াবা ব্যবসায়ি সেলিম বগুড়ার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কক্সবাজার মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার ফরিদ উদ্দিন জানান, আইওএম এতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত নোহা চালক সেলিম কে ৩১৫ পিচ ইয়াবা সহ আটক করা হয়েছে। সেলিম ল্যাপটপের পার্টসে ভরে সুকৌশলে ইয়াবা পাচার করছিল।
এদিকে কক্সবাজারের নোহা, মাইক্রোবাস, মালিক ও চালক নেতৃবৃন্দ জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মানবিক কাজে নিয়োজিত আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থায় ঢাকার সাপ্লাইয়ার সাইমন এন্টারপ্রাইজ নামধারী একটি প্রতিষ্ঠান কম মূল্যে প্রায় ৪০ (চল্লিশ) টি নোহা বাস ভাড়া দিয়েছে।
সূত্র জানায়, রাজধানীর ঢাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কম দামে গাড়ি ভাড়া দিয়ে আর্ন্তজাতিক সংস্থা গুলোর স্টিকার ব্যবহার করে দীর্ঘদিন দরে ইয়াবা পাচারের মত জঘন্য অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে।
এ ব্যাপারে অধিকতর তদন্ত সাপেক্ষে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মানবিক কাজের আড়ালে ঢাকার নোহা গাড়ী সংশ্লিষ্ট মালিক ও চালকদের চিহ্নিত ইয়াবা সিন্ডিকেটের সদস্যদের এখনই আইনের আওতায় আনা জরুরি মনে করছেন কক্সবাজারের সচেতন মহল।
পাঠকের মতামত